//
কথা সাহিত্যিক ও নাট্যকার
আনিসুল হক কবি, কথাসাহিত্যিক, কলামলেখক, চিত্রনাট্যকার, প্রাবন্ধিক কবি, কথাসাহিত্যিক, কলামলেখক, চিত্রনাট্যকার, প্রাবন্ধিক আনিসুল হক ১৯৬৫ সালে নীলফামারীতে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মো. মোফাজ্জল হক, মাতা মোসা. আনোয়ারা বেগম। তিনি রংপুর পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়, রংপুর জিলা স্কুল, রংপুর কারমাইকেল কলেজ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা থেকে লেখাপড়া করেন। তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা শতাধিকের উপরে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্ন্তজাতিক লেখক কার্যক্রমে আবাসিক লেখক হিসেবে অংশ নিয়েছেন। যোগ দিয়েছেন সুইডেনের আর্ন্তজাতিক লেখক কংগ্রেস, জয়পুর সাহিত্য উৎসব, কলকাতা আর্ন্তজাতিক সাহিত্য উৎসব-সহ বিভিন্ন দেশে আয়োজিত সাহিত্য সম্মেলনে । তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরষ্কার, সিটি ব্যাংক আনন্দআলো সেরা বই পুরষ্কার, খালেকদাদ চৌধুরী পদক সহ নানা পুরষ্কারে ভূষিত। তাঁর উপন্যাস মা ও ফাঁদ একাধিক ভাষায় অনূদিত ও দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। তাঁর রচিত টেলিভিশন নাটক ও চলচ্চিত্র দেশে-বিদেশে প্রশংসিত ও পুরষ্কৃত হয়েছে। শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার হিসেবে ব তিনি এশিয়া প্যাসিফিক স্কিন এয়ার্ডে চূড়ান্ত মনোনয়ন লাভ করেন। তিনি কিশোরআলো পত্রিকার সম্পাদক ও প্রথমআলো-র সহযোগী সম্পাদক। ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদ প্রথম বর্ষ থেকেই তিনি বিচারকের দায়িত্ব পালন করছেন। এবার ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদ ষষ্ঠ বর্ষেও আনিসুল হক থাকছেন বিচারক হিসেবে।
গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব
বাংলাদেশের গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের মাঝে ত্রপা মজুমদার একটি উজ্জ্বল নাম। মঞ্চ, টিভি ও বেতার নাটকে তাঁর উপস্থিতি সবসময়ই এক বিশেষ মাত্রা যোগ করে থাকে। শুধু নাট্যাঙ্গনে নয় শিক্ষা ক্ষেত্রেও তাঁর সফলতা অনুকরণীয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে বি. এ (সম্মান) শ্রেণীতে প্রথম বিভাগে তৃতীয় ও এম. এ-তে তিনি প্রথম বিভাগে প্রথম স্থান লাভ করেন। কর্মজীবনে তিনি বিজ্ঞাপনী সংস্থা এক্সপ্রেশানস লিমিটেড-এর পরিচালক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক।
বাংলাদেশের বাইরে ভারত, সিঙ্গাপুর ও ইংল্যান্ডে ত্রপা মজুমদার অভিনীত ও নির্দেশিত নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। তাঁর অভিনীত মঞ্চ নাটকগুলোর মধ্যে আছে- বিষলক্ষ্যার ছুরি, চিরকুমার সভা, দ্যাশের মানুষ, স্পর্ধা, মেরাজ ফকিরের মা, তোমরাই, পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়, এখনও ক্রীতদাস, সুবচন নির্বাসনে, আন্তিগোনে, কৃষ্ণকান্তের উইল, তাহারা তখন, স্বপ্নগিরি, ছয় বেহারার পালকি, মাধবী, বারামখানা, মুক্তধারা, অন্ধকারে মিথেন, মায়ানদী ও ধলেশ্বরী অপেরা। অভিনয়ের পাশাপাশি ত্রপা মজুমদার নাট্য নির্দেশনার সাথেও যুক্ত। তাঁর নির্দেশিত নাটকগুলো হলো- ছয় বেহারার পালকি (যৌথ নির্দেশনা), মুক্তি, বারামখানা ও কুহকজাল।
ত্রপা মজুমদার তাঁর কাজের স্বীকৃতি হিসেবে চক্রবাক পুরস্কার, বাচসাস পুরস্কার, তনুশ্রী পদক, দীপু স্মৃতি পদক, বাংলাদেশ কালচারাল রিপোর্টারস এসোসিয়েশান পদক, এস এম সোলায়মান প্রণোদনা বৃত্তি, ফৌজিয়া ইয়াসমিন পদকসহ অনেক পদক ও পুরস্কার লাভ করেছেন।
অধ্যাপক, ভাষাবিদ
তারিক মনজুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক। তিনি পিএইচডি করেছেন বাংলা বানানের উপর। তাঁর কাজের আগ্রহের ক্ষেত্র ভাষাবিজ্ঞান। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তিনি ভাষা বিষয়ক লেখালেখি করে থাকেন। দেশের ও বিদেশের গবেষণা পত্রিকায় তাঁর ৩০টির বেশি গবেষণা-প্রবন্ধ ছাপা হয়েছে। বাংলাদেশ শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের কাজের সঙ্গেও অধ্যাপক তারিক মনজুর যুক্ত আছেন। তিনি বাংলা বিষয়ের শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করেছেন এবং প্রতিটি শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক রচনায় ও সম্পাদনায় অংশ নিয়েছেন। তাঁর লেখা বইয়ের মধ্যে আছে ‘ব্যবহারিক ব্যাকরণ’, ‘রবীন্দ্রনাথ: প্রথম দশ বছর’, ‘রবীন্দ্রনাথ: শেষ দশ বছর’। এছাড়া শিশুদের জন্য তাঁর লেখা বইয়ের সংখ্যা ৫০টির বেশি। এসব বই রুম টু রিড, সেভ দ্য চিলড্রেন, সিসিমপুর বাংলাদেশ, প্রথমা প্রকাশন, কথাপ্রকাশ ও তাম্রলিপি থেকে প্রকাশিত হয়েছে। প্রাথমিক স্তরের শিশুকে পড়তে শেখানো এবং শিশুর পড়ার দক্ষতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন প্রকল্পে তিনি কাজ করেছেন। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে তাঁর ৫০টির বেশি নাটক প্রচারিত হয়েছে। বেশিরভাগ নাটকের বিষয় মানব-মনস্তত্ত্ব। দৈনিক পত্রিকায় তিনি মতামত ও কলাম লিখে থাকেন। এসব লেখায় তাঁর শিক্ষাভাবনা প্রতিফলিত হয়।